পারসেক
এর একক:
- মহাজাগতিক দৈর্ঘ্য/দূরত্ব
বিশ্বব্যাপী ব্যবহার:
- বিশ্বব্যাপী
বিবরণ:
পারসেক দৈর্ঘ্যের একটি একক যা প্রায় 20 ট্রিলিয়ন (20,000,000,000,000) মাইলের সমতুল্য, 31 ট্রিলিয়ন কিলোমিটারের, অথবা পৃথিবী থেকে সূর্য্যের দূরত্বের 206,264 গুণের সমান।
পারসেক প্রায় 3.26 আলোক বর্ষেরও সমতুল্য (আপনি যদি আলোকের গতিবেগে ভ্রমণ করেন তবে তিন বছর তিন মাসে আপনি যতটা দূরত্ব অতিক্রম করবেন)।
সংজ্ঞা:
পারসেক এককটি উদ্ভাবিত হওয়ার অনেক আগে থেকেই জ্যোতির্বিদগণ নক্ষত্রগুলির মধ্যবর্তী দূরত্ব ত্রিকোণমিতি ব্যবহার করে গণনা করতেন, কিন্তু নতুন এককটির ব্যবহার এই অতল দূরত্ব কল্পনা আরো সহজ্তর করেছে।
পারসেক সূর্য্যের থেকে কোন মহাজাগতিক বস্তু দূরত্ব বোঝায় যার লম্বন (প্যারালাক্স) কোণ হল এক বৃত্তচাপসেকেন্ড বা আর্কসেকেন্ড (এক ডিগ্রির 1/3600)। লম্বন (প্যারালাক্স) কোণ গণনা করা হয় প্যারালাক্স বা লম
আদি উৎস:
পারসেক নামটি প্রচলন করেন 1913 সালে ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী হারবার্ট হল টার্নার। জ্যোতির্বিদ্যার সহায়ক দূরত্ব পরিমাপের একটি একক সংজ্ঞায়িত হয়েছিল কিন্তু কোন নাম ছাড়াই, এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানী রয়্যাল পরামর্শ চান। টার্নারের নামটি মেনে নেওয়া হয় - পারসেক নামটি এককের সংজ্ঞা থেকে উদ্ভূত যা সূর্য্য থেকে কোন মহাজাগতিক বস্তুর দূরত্বের থেকে যার এক আর্কসেকেন্ডের একটি প্যারালাক্স কোণ আছে।
সাধারণ সূত্রসমূহ:
- সূর্য্য ছাড়া পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র - প্রক্সিমা সেন্টারি 1.29 পারসেক দূরত্বে অবস্থিত।
- আকাশগঙ্গা বা মিল্কি ওয়ের কেন্দ্রস্থল পৃথিবী থেকে 8 kpc (কিলোপারসেক) দূরত্বে অবস্থিত।
ব্যবহারের প্রসঙ্গ:
জ্যোতির্বিদ্যা - যদিও এটা প্রচুর দূরত্ব বোঝায়, পারসেক জ্যোতির্বিদ্যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি অপেক্ষাকৃত ছোট একক। মেগাপারসেক (এমপিসি) সাধারণত এক মিলিয়ন(দশ লক্ষ) পারসেক দূরত্ব বোঝায়।
অংশ এককসমূহ:
- কোনটিই নয়
গুণিতক:
- কিলোপারসেক (kpc) - 1,000 pc (পারসেক)
- মেগাপারসেক(Mpc) - 1,000,000 pc (পারসেক)
- গিগাপারসেক (Gpc) - 1,000,000,000 pc (পারসেক)